পুলিশ কর্মবিরতিতে, সরকারও এখন পর্যন্ত গঠিত হয়নি। দেখুন, আমেরিকার মতো দেশেও কয়েকঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকলে লুটপাট শুরু হয়ে যায়। সেখানে একটি দেশ দুই দিন যাবত কোনো সরকার ও পুলিশ ছাড়াই চলছে! এরকম পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলার ব্যপক অবনতিই এক্সপেক্টেড। ছিঁচকেচোর থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী – সবাই স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করবে, এমনকি কেউ কেউ ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশও এই সুযোগে ঘটানোর চেষ্টা করবে।
কিন্তু ঘটনা ঘটেছে উলটো। দেশের মানুষ যথেষ্ট সভ্যতার পরিচয় দিয়েছে। অধিকাংশ মানুষ গণভবন থেকে লুট করা মালামাল ফেরত দিয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে ছাত্ররা ট্র্যাফিক ম্যানেজ করেছে। দীর্ঘ আন্দোলনে রাস্তায় তৈরি হওয়া জঞ্জালও তারা পরিষ্কার করেছে। দেশের নানা প্রান্তে মাইনরিটি জনগোষ্ঠীকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। হাসিনার পলায়ন পরবর্তী কয়েকঘন্টার বিশৃঙ্খলাও এখন কমে এসেছে। সকল রাজনৈতিক দল বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই মূহুর্তে ওই ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী ছাড়া কেউই বিশৃঙ্খলা চাইছে না। সবাই-ই জানে বিশৃঙ্খলা পুরো অর্জন মাটি করে দিতে পারে। আসতে পারে সেনাশাসন।
তাহলে আমাদের অর্জন নষ্ট হলো কীভাবে! হতাশ হওয়ার কিছু নাই। কিছুই নষ্ট হয়নি। এখন পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যম্ভাবী ছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে তার আগ পর্যন্ত আমাদের সতর্কতার সাথে এগুলো প্রতিহত করার চেষ্টা করতে হবে। আসুন হা-হুতাশ না করে যার যার অবস্থান থেকে দেশ পুনর্গঠনে অংশগ্রহণ করি।